লেখক: মো: মহিউদ্দিন হেলাল (সম্পাদক পর্যটন বিচিত্রা)
তারুণ্যের শক্তিকে আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে যথাযথ কাজে লাগাতে চাই। তারই অংশ হিসেবে ঢাকায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘৩য় বাংলাদেশ ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্ট ও সামিট। এই আয়োজন দেশের পর্যটন উন্নয়নে যুবশক্তির অংশগ্রহণে ভিন্নমাত্রার সংযোজন করবে।
উল্লেখ্য যে, দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ‘পর্যটন বিচিত্রা’ দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকাশনার পাশাপাশি ‘এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার’ নামে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সামিট, বাংলাদেশ ইয়থ ট্যুরিজম ফেস্ট অত্যন্ত সফলতার সাথে আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ‘তারুণ্যের শক্তিতে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যে ‘৩য় বাংলাদেশ ইয়থ ট্যুরিজম ফেস্ট ও সামিট ২০২৫ আয়োজনে বাংলাদেশের নব জাগরণে যুব পর্যটন উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা কর্মসূচি, প্রদর্শনী ও সেমিনারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ আয়োজনের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য সমূহের অন্যতম হচ্ছে-
১. পর্যটন শিল্পে তরুণদেরকে সম্পৃক্তকরণে উৎসাহিত করা। ২. যুব পর্যটনের বিভিন্ন সম্ভাব্যসমূহের শোকেজিং। ৩. পর্যটন শিল্পে দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি। ৪. টেকসই উন্নয়ন অনুশীলন সমূহের প্রচার ও বিকাশ। ৫. পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন। ৬. উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ইনোভেশনকে উৎসাহিত করা। ৭. টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সহায়তা করা । বাংলাদেশ ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্ট আয়োজনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হলো- ইয়ুথ ট্যুরিজম এক্সিবিশন, অ্যাডভেঞ্চার গিয়ার ও ইকুপমেন্ট প্রদর্শনী, পর্যটন শিল্পে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণ, যুব পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমূহের প্রদর্শনী এবং পর্যটনে যুব উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ।
ইয়ুথ ট্যুরিজম সামিট আয়োজনে থাকবে- প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো সেমিনার, আলোচনা ও কর্মশালা। এছাড়াও থাকবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণদের মধ্যে ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেশন, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে সহায়ক হবে ।
একই সাথে ‘ঢাকা ট্রাভেল রাইটারস ফেস্ট ২০২৫’ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই আয়োজনে ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রয় ছাড়াও উৎসবে ভ্রমণ বিষয়ক লেখক, সাহিত্যিক, রিপোর্টার, ফটোগ্রাফার, ব্লগার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে চলবে ভ্রমণ বই আলোচনা, ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার স্মৃতিচারণ ।
এছাড়া উৎসবে প্রদর্শনী অংশে থাকবে ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ।
পরবর্তীতে থাকবে পোস্ট-ইভেন্ট ক্যাম্পিং প্রোগ্রাম; এবং এটি তরুণদের জন্য টেকনিক্যাল গাইডেন্স হিসাবে কাজ করবে। এসকল আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পে প্রবল গতি আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ।
এদিকে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। মাসব্যাপী বই নিয়ে এ আয়োজনের জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন পাঠক, লেখক ও প্রকাশক । অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলার উদ্বোধন করেন। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’ ।
বই একটি ‘সত্তা’, সেই ‘সত্তা’কে স্পন্দিত করতে হবে, সঞ্চারিত করতে হবে পাঠকের হৃদয়ে, মননে-তা হলেই বইমেলা হয়ে উঠবে জীবন মেলা ।