পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ১৯১৩ সালে স্থানীয় জাদুঘরগুলোর সংগঠকদের প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেন এবং ১৯১৬ সালে তিনি এই জাদুঘর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর পরিচালনার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে।
নিদর্শনসমূহ
বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহ সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। এখানে হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। মহেঞ্জোদারো সভ্যতা থেকে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি সহ অসংখ্য মূর্তি এই জাদুঘরের অমূল্য সংগ্রহের অন্তর্ভুক্ত।
মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষভাবে উল্লেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫,০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে।
জাদুঘরের সময়সূচী
শনিবার থেকে বুধবার বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত ছুটির দিনগুলোতে বরেন্দ্র জাদুঘর বন্ধ থাকে।
যেভাবে যাওয়া যায়
রাজশাহী জিরোপয়েন্ট থেকে আনুমানিক ৮০০ মিটার পশ্চিম দিকে প্রধান সড়কের উত্তরে অবস্থিত। রিকশা বা অটোরিকশাতে যাওয়া যায়।